বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন— ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক জান্নাতুল নাইম, ফায়ার ফাইটার মো. শামীম, মো. নুরুল হুদা, মো. জয় হাসান এবং পাশের দোকানের মালিক বাবু (২০)। তাঁদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া গুদামের এক কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন, তবে তাঁর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরীর সাহারা মার্কেট এলাকায় ফেমাস কেমিক্যাল নামের ওই গুদামে প্রথমে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় উত্তরা ও কুর্মিটোলা ফায়ার সার্ভিসের আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয়।
প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় হঠাৎ গুদামের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মী দগ্ধ হন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শাহিন আলম বলেন, “গুদামটিতে বিপুল পরিমাণ কেমিক্যাল মজুত ছিল। এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।”
ফায়ার সার্ভিসের (ঢাকা জোন-৩) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, “আগুন নেভাতে গিয়ে আমাদের পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্ষয়ক্ষতি ও আগুন লাগার কারণ তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত করা হবে।”
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় গুদামের ভেতরে থাকা লোকজন দ্রুত বের হয়ে আসতে সক্ষম হন। বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে এবং আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি বিশেষ তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুদামে মজুত দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...