বিজ্ঞাপন
এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ বেআইনি আখ্যা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান মোল্লার দেওয়া অভিযোগের কপি থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তার তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্ব) দুপুরে স্কুল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু একটি বেসরকারি কার্যালয়, সেখানে সংবাদ সম্মেলন করা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।
সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য পরিচিত। জেলা প্রশাসক ও মাউশির তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ সত্ত্বেও নিজেদের বাঁচানোর জন্য তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঘুষের বিনিময়ে এমপিও পুনর্বহালের চেষ্টার অভিযোগে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেই মানববন্ধনে সরব হয়েছিলেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্ত শিক্ষকেরা মাউশির পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো. আবু কাইয়ুম শিশিরের সঙ্গে আঁতাত করে বেতন চালুর চেষ্টা করছেন। প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ টানা ১৬ বছর ধরে তার শ্বশুরকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে রেখেছিলেন এবং একটি বাতিল হওয়া কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া, সহকারী প্রধান শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতির প্রমাণও পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্কুলে এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...