Logo Logo

টঙ্গীতে দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীমের মৃত্যুতে নিজ গ্রামে শোকের মাতম


Splash Image

দেশকে আগুনের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষায় জীবন বাজি রেখে লড়াই করা ফায়ার সার্ভিসের এক সাহসী যোদ্ধা শামীম আহমেদ আর বেঁচে নেই।


বিজ্ঞাপন


ঢাকার টঙ্গীর সাহারা মার্কেটের একটি কেমিক্যাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে গিয়ে গুরুতর দগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেল তিনটার দিকে তিনি রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজন, সহকর্মী ও পুরো এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।

গত সোমবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গী সাহারা মার্কেট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। পরে সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডি ব্রিগেডের একটি ইউনিটও এই অভিযানে যুক্ত হয়।

অগ্নিনির্বাপণে প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারজন কর্মী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শামীম আহমেদ শতভাগ দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত তিনি না-ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম শামীমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি হাফিজুর রহমান জানান, শামীম আহমেদের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছে। প্রথমে মরদেহ ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের রায়পুর-পিজাহাটিতে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুরো গ্রামে শোকের মাতম শুরু হয়েছে।

শামীম আহমেদ ২০০৪ সালের ১৬ আগস্ট ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করেন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের সুরক্ষায় কাজ করেছেন। সহকর্মীদের ভাষায় তিনি ছিলেন দায়িত্বশীল, সাহসী ও কর্তব্যপরায়ণ। তার এই আত্মত্যাগ গোটা জাতিকে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে, বিপদের মুহূর্তে জীবন বাজি রেখে আগুনের সঙ্গে লড়াই করা মানুষগুলোর প্রতি আমরা কতটা ঋণী।

শামীম আহমেদের মৃত্যুতে পরিবারে যেমন শোকের মাতম চলছে, তেমনি শোকাহত হয়েছেন তার সহকর্মীরাও। ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করা এই সাহসী ফায়ার ফাইটারের নাম তারা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন। তার বীরত্ব ও আত্মত্যাগ আগামী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তাদের আহাজারিতে শোকের ভার আরও গভীর হয়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...