অভিযুক্ত ববি প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, মামুন অর রশিদ মেসার্স এন রহমান এন্টারপ্রাইজের কাগজপত্র ও সিল ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে রিফিলের জন্য ১,২০৪ কেজি এবিসি ড্রাই পাউডার সরবরাহের কাজ দেন বিল্লাল নামের এক ব্যক্তিকে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত মালিক নাজিউর রহমান সুজন এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। অথচ তার প্রতিষ্ঠানের নামেই ১ লাখ ৯০ হাজার ৭১৩ টাকার বিল ২১ সেপ্টেম্বর নাজিউরের নামে সাক্ষর করে বিল্লাল উত্তোলন করেন।
অভিযোগ করে নাজিউর রহমান সুজন বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো কোনো কাজ করিনি। শুধু এনলিস্ট করার জন্য কাগজপত্র ও সিল জমা দিয়েছিলাম। আমার অজান্তে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে কাজ করা অন্যায়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন অনিয়ম একেবারেই আশা করিনি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল জানান, “আমি নাজিউর রহমানের পক্ষে চেক নিয়েছি। প্রকৌশল দপ্তরের এক ভাই লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছেন।” তবে মালিকের অজ্ঞাতসারে কাজ করার প্রশ্নে তিনি কোনো স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি।
অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ বলেন, “বিল্লাল কাজ করেছে। তার প্রতিষ্ঠান না থাকায় ওই লাইসেন্স ব্যবহার করেছে। এর সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।” তবে মালিককে না জানিয়ে কীভাবে অন্য কেউ কাগজপত্র ব্যবহার করল, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, “এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেলে তাকে শোকজ করা হবে।”
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
প্রতিবেদক- মোঃ আশিকুল ইসলাম, ববি প্রতিনিধি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...