Logo Logo

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আঁধারে মাটি উত্তোলন, আশপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত


Splash Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটছে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিয়ারা গ্রামের প্রভাবশালী মো. শাহিন মিয়া শ্রেণি পরিবর্তনের কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৩২২ খতিয়ানের ১৭১৮, ১৭১৯ ও ১৭২০ দাগের পুকুর ভরাট করছেন। এর ফলে আশপাশের বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইব্রাহিম মিয়া, তাহের মিয়ার ছেলে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় খবর পেয়ে বিটঘর ভূমি অফিসের নায়েব এস. এম. রাসেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবৈধ মাটি উত্তোলনের সত্যতা পান। তিনি জানান, বাঁধা দেওয়ার পরও জমির মালিক শাহিন ও ড্রেজার মালিক শারফিন অসৌজন্যমূলক আচরণ করে কাজ চালিয়ে যান। পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ বিন মনসুরের নির্দেশে এস. এম. রাসেল মাহমুদ নবীনগর থানায় জমির মালিক শাহিন মিয়া ও ড্রেজার মালিক শারফিনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মিলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’—সরকারি এমন নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুকুর থেকে বালু উত্তোলন এবং পুকুর ভরাট করছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী শারফিন মিয়া। এতে এলাকার পরিবেশ ও জমির গঠন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ তিনি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযুক্ত শাহিন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি গত পাঁচ দিন ধরে ড্রেজার চালাচ্ছি না। রাতের বেলাতেও কোনো ড্রেজার চলছে না। আপনারা চাইলে সরেজমিনে দেখে যেতে পারেন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর বলেন, “ওখানে তিন দিন অভিযান চালিয়েছি, ড্রেজারের পাইপ ভেঙে দিয়েছি। সমস্যা হচ্ছে—মোবাইল কোর্ট করতে লোক পাওয়া যাচ্ছে না। আমার নায়েব তাদের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। দ্রুত কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের একাধিক অভিযান ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাতের আঁধারে অবৈধ ড্রেজার চালিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ থেমে নেই। এলাকাটি রক্ষায় প্রশাসনের তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রতিবেদক- মোহাম্মদ আবু সুফী, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...