Logo Logo

ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলায় চালকসহ ১০ জন আহত, ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর


Splash Image

ফরিদপুর সদর উপজেলার মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে মঙ্গলবার বিকেলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ১০ জন চালক আহত হয়েছেন এবং ১৬টি মাহেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মাহিন্দ্রা চালকরা অভিযোগ করেছেন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছেন। তবে মাসুদুর রহমান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, শহরের হাজরাতলার মোড় এলাকায় সালথাগামী মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড এবং ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে কানাইপুরগামী মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড রয়েছে। সালথার গাড়িগুলো যখন কানাইপুর স্ট্যান্ড অতিক্রম করছিল, তখন সড়কে যানজটের কারণে একটি গাড়ি আটকা পড়ে। এ সময় ওই চালককে মারধর করে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন বহিরাগত ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

আহতদের মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন – রাইফুল আলম, মামুন মন্ডল, সলেমান শেখ ও মোতালেব মল্লিক। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মাহিন্দ্রা চালক লিয়াকত আলী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান ও শাহীন হাওলাদার মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডের দখল নিতে চেষ্টা করছেন। স্ট্যান্ড দখল করতে না পারলেও তারা প্রতিদিন জোর করে প্রতি মাহিন্দ্রা ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেন। আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের পরিকল্পিত প্রতিশোধের শিকার হয়েছি।”

আহত চালক রানা সরদার বলেন, “বিকেলে বেশ কিছু ব্যক্তি দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় এবং বেশ কয়েকটি মাহিন্দ্রা ভাঙচুর করা হয়।”

হামলার অভিযোগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে শাহীন হাওলাদারের মোবাইল ফোন একাধিকবার কল করার চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।

এই বিষয়ে জেলা যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান বলেন, “আমি শ্রমিক রাজনীতি করি না। মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। আমাকে জড়ানো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাজ।” তিনি আরও বলেন, “আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছি। তাই দলের একটি অংশ আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

ফরিদপুর জেলা মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “আমাদের স্ট্যান্ড দখল করার চেষ্টা চলছে। আজকের হামলা সেই পরিকল্পনার অংশ।”

ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ঘটনার সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তদন্তের পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, “ঘটনার খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...