বিজ্ঞাপন
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে মাঠে প্রায় ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। নির্বাচনের সময় এ সংখ্যা এক লাখে উন্নীত করা হবে। পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীও সরাসরি দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশের সঙ্গে র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডও নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে জনগণের ওপর। জনগণের সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণই নির্বাচনের সাফল্য নিশ্চিত করবে।”
চট্টগ্রামে সম্প্রতি লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কিছু অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য—পাহাড়, সমুদ্র ও সমতল এলাকা—অভিযানে কিছুটা জটিলতা তৈরি করছে। তবে নির্বাচনের আগেই আরও অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পার্শ্ববর্তী দেশের প্রচারিত গুজব নিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “শুরুতে আমাদের পাশের দেশ থেকে অনেক বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়ানো হয়েছিল। তখন আপনারা তা প্রতিহত করেছেন, যার ফলে তারা সফল হতে পারেনি। সামনে দুর্গাপূজা উপলক্ষেও তারা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা অতীতের মতো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন, যাতে জনগণ প্রকৃত তথ্য পায়।”
গণমাধ্যমের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “সাংবাদিকদের সহযোগিতা ছাড়া কোনো রাষ্ট্রীয় কাজ সফল করা সম্ভব নয়।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...