বিজ্ঞাপন
বৈঠকে দেশে ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, গণতান্ত্রিক রূপান্তর, ব্যাংক ও রাজস্বখাত সংস্কার, চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংযোগ এবং এশিয়াজুড়ে তরুণদের রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও বৈঠকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা গত ১৪ মাসে অধ্যাপক ইউনুসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে তার ‘কেন্দ্রীয় ভূমিকা’ তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস বিশ্বব্যাংকের নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশের ইতিহাসে এক সংকটময় সময়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের পাশে ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সরাসরি সহায়তা চাই। চট্টগ্রাম বন্দর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। এর আধুনিকায়নের মাধ্যমে কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। চলুন একসঙ্গে উন্নয়ন করি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নেপাল ও ভূটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলো এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যও চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নের সরাসরি সুবিধাভোগী হবে।
এ বিষয়ে জবাবে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা বলেন, “ব্যাংক ও রাজস্বখাতে জোরালো সংস্কার ছাড়া টেকসই ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির ভিত্তি গড়া সম্ভব নয়।”
এই বৈঠকটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, আঞ্চলিক সংযোগ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...