বিজ্ঞাপন
তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীরা বিষয়টি শনাক্ত করে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভায় উত্থাপন করলে জেলা প্রশাসকের দ্রুত হস্তক্ষেপে নবজাতক দুটি রক্ষা পায়।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক ও জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বিষয়টি শুনে গভীর ব্যথা প্রকাশ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), এনডিসি নেত্রকোণা, উপপরিচালক সমাজসেবা, প্রবেশন অফিসার ও শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পরিবারটির বাড়িতে ছুটে যান।
পরিবারটির চরম আর্থিক দুর্দশার কথা শোনার পর জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। পরিবারের চার শিশুর মধ্যে অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা বড় সন্তানকে ‘শিশু পরিবার (বালক), নেত্রকোণা’-এ লালনপালনের জন্য প্রেরণের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নবজাতক জমজ শিশুর জন্য দুই টিন শিশুখাদ্য, পরিবারের জন্য দুই বস্তা শুকনা খাবার এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
জানা যায়, জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে পরিবারটি নবজাতক বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই পরিবারটির সার্বিক তত্ত্বাবধান অব্যাহত থাকবে এবং দীর্ঘমেয়াদে পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...