Logo Logo

দাগনভূঞায় ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার


Splash Image

ফেনীর দাগনভূঞা থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় মাদক বিক্রির নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।


বিজ্ঞাপন


ফেনীর দাগনভূঞা থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় মাদক বিক্রির নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দাগনভূঞা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোডাউন রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল উদ্দিন হাজী বাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. ওমর ফারুক ওরফে বুলেট ফারুক (৪৪) এবং কুতুবপুর ইউনিয়নের রমজান আলী বেপারী বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে সাইফুল ইসলাম সুজন (৩৬)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি মো. সাইফুল ইসলাম (৩৮) গ্রেপ্তার হন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকা নোয়াখালীর শীর্ষ মাদক কারবারি ও ইয়াবার অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী বুলেট ফারুক বর্তমানে ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার গোডাউন রোডের একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন।

তথ্য যাচাই-বাছাই করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেনের নির্দেশে সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভর নেতৃত্বে বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বুলেট ফারুককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে তার পরিহিত জাঙ্গিয়া ও মোটরসাইকেল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তার ভাড়া বাসা তল্লাশি করে তার সহযোগী সাইফুল ইসলাম সুজনের কাছ থেকে আরও এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

ডিএনসি জানায়, বুলেট ফারুকের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও সিএমপির ডবলমুড়িং থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০টি মামলা রয়েছে। এছাড়া সাইফুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় সাতটি মাদক মামলা চলছে।

সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ জানান, গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তাজবীর আহাম্মদ বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর তাদের বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...