বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। সম্মেলনে গত এক বছরের মন্ত্রণালয়ের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের রেখে যাওয়া সারের বকেয়া পরিশোধ করে চাহিদামত সার আমদানি করা হয়েছে। দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই, এবং আগামী মৌসুমেও যাতে সারের ঘাটতি না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থানের পর দেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এক বছরের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার বিকাশে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে।”
উপদেষ্টা দেশের কৃষি-নির্ভর প্রকৃতি তুলে ধরে বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর ও লাভজনক খাতে রূপান্তর করা সরকারের অগ্রাধিকার ছিল। গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং তার ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে।”
তিনি দেশের খাদ্য শস্য উৎপাদনের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ ও শাক-সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলমূল উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গত বছরের আগস্টে দেশের ২৩টি জেলায় মারাত্মক বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সময়মত বীজ, সার ও প্রণোদনা দেওয়ায় কৃষকরা সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। গত বোরো মৌসুমে ১৫ লক্ষ টন ধান লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে।”
উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন, দেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...