বিজ্ঞাপন
পরে জানা যায়, গর্ভবতী মা সীমা আক্তার (২২)কে তার পরিবার স্বাস্থ্যসেবার জন্য তালতলী ইসলামী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। যদিও তার নির্ধারিত ডেলিভারির তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৫, তবুও হাসপাতালের চিকিৎসকরা সীমাকে দ্রুত সিজার করতে বলেন। অভিযোগ, ডাঃ নুসরাত জাহান ও তার সহযোগী ডাঃ ফাহমিদা হক ও ডাঃ সার্জিল হোসেন সোহাগ রোগীর পরিবারকে জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে সিজার না করলে সীমাকে বাঁচানো যাবে না।
পরিবার জানায়, তারা বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য ফিরে আসার সময় দেখেন সীমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নবজাতক জন্মগ্রহণের পরই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরিবার অভিযোগ করেছে, চিকিৎসকরা অবহেলাজনিত কারণে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রেবা (৫০) বলেন, "সীমা আমার মেয়ে, ডাক্তাররা আগে থেকেই ভয় দেখিয়েছিল, দ্রুত সিজার না করলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়বে। তাদের অবহেলার কারণে আমার নবজাতক নাতির মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিচার চাই।"
অভিযোগ ওঠেছে, ঘটনার পর অভিযুক্ত চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। হাসপাতাল ম্যানেজার মো. বশিরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ্ জালাল বলেন, "পরোক্ষভাবে সংবাদ পেয়েছি, তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, "আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এই ঘটনার পেছনে তদন্ত ও দায়িত্বের নিশ্চয়তা ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...