Logo Logo

শুধু নেতা নয়, আমরা নীতির পরিবর্তন চাই : ফয়জুল করীম


Splash Image

বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, “ধর্ষণ, চুরি-লুটপাট ও চাঁদাবাজির নাম রাজনীতি নয়। এটি জুলুম ও ডাকাতিতন্ত্র। রাষ্ট্রতন্ত্র তো দূরের কথা, এমন ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই রাষ্ট্র বলা যায় না।”


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরে স্থানীয় ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা জুলুম-অত্যাচার ও অবিচার করেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে, ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি খাতকে ধ্বংস করেছে।”

ফয়জুল করীম বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার নেই মানে প্রধান বিচারপতিও নেই; ডিজিএফআই-এনএসআই প্রধানও নেই; পুলিশের আইজিও নেই; এমনকি বায়তুল মোকারম মসজিদের ইমামও নেই। এর নাম কি রাষ্ট্র? এটিকে রাষ্ট্র বলা যায় না। রাষ্ট্রের একটা কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায়, তাহলে সরকারকে জবাব দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বহু দলের শাসন আমরা দেখেছি। আওয়ামী লীগ-বিএনপির শাসন দেখেছি। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখিনি। আগে একদল চাঁদাবাজি করেছে, এখন আরেক দল করছে। আগে একদল ধর্ষণ করেছে, এখন আরেক দল করছে। শুধু হাতের পরিবর্তন হয়েছে, চেহারার পরিবর্তন হয়নি।”

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “চোর-ডাকাতদের আর আমরা ক্ষমতায় দেখতে চাই না। তাই শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই। চোরের বদলে চোর, ডাকাতের বদলে ডাকাত ক্ষমতায় আনলে হবে না। প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে ইসলামী দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে।”

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই। আমি বলবো আপনি নিজেও সংবিধানে নেই। কারণ সংবিধানে আছে, সরকার পরিবর্তনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

আদালত ও বিচারকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আদালতগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। যে যখন ক্ষমতায় আসে, বিচারকরা তার দিকে তাকিয়ে রায় দেন। এটি আদালত হতে পারে না, এর নাম বিচারক না।”

ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ মুহাম্মাদ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফরিদপুর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল ফরিদপুরী, শাকপালদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা লিয়াকত আলী এবং উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...