বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের চতুর্থ দিনে নেতানিয়াহুর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই একে একে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান। আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এবং ইউরোপের কিছু দেশের প্রতিনিধিরাও এই ওয়াকআউটে অংশ নেন। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অনেককে হাততালি দিতে এবং শিস বাজাতে শোনা যায়। শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি পরিষদের সভাপতি। জাতিসংঘের সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আসন ফাঁকা ছিল।
এর আগে নিজ বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘নির্বিচার গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক মহলের সক্রিয় হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “শিশুরা না খেয়ে মৃত্যুবরণ করছে, বেসামরিক জনগণ নির্বিচারে নিহত হচ্ছে। হাসপাতাল, স্কুলসহ পুরো জনপদ নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সঙ্গে আমিও একমত—সবার চোখের সামনেই একটি গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। দুর্ভাগ্য যে মানবজাতির পক্ষ থেকে এর অবসানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।”
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জোরালো দাবিও জানান তিনি। ড. ইউনূস বলেন, “পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্বের বিবেকবান নাগরিকরা এ দাবি জানাচ্ছে।”
জাতিসংঘ অধিবেশনে নেতানিয়াহুর ভাষণ বর্জনের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে পর্যবেক্ষকদের মন্তব্য।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...