Logo Logo

বিশ্ব নদী দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাসে তরী বাংলাদেশের গণ-গোসল


Splash Image

“নদী বাঁচাতে নদীতে আসুন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব নদী দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী গণ-গোসল কর্মসূচি। শহরের ভাদুঘর বাজার ঘাটে সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব সংগঠন তরী বাংলাদেশ এর আয়োজনে এ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।


বিজ্ঞাপন


কর্মসূচির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) রঞ্জন চন্দ্র দে। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “নদী এখন অতিমাত্রায় দূষিত হচ্ছে। এর দায় ব্যক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে। নদী সুরক্ষায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। মানুষকে সচেতন করতে তরী বাংলাদেশের এ আয়োজন প্রশংসনীয়। নদী রক্ষায় এমন কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখা জরুরি।”

তরী বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা জানান, নদী শুধু একটি জলধারা নয়, এটি এক সভ্যতার ভিত্তি। মানুষের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়। তাই প্রতীকী গণ-গোসল কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে নদীমুখী করার চেষ্টা করা হয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, “তিতাস নদী আমাদের প্রাণ। অথচ দখল-দূষণে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বিশ্ব নদী দিবসে আমরা মানুষকে আবার নদীর দিকে ফেরাতে চাই। জনগণ যত বেশি নদীমুখী হবে, নদী ততই প্রাণবন্ত থাকবে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নদীর পানি, নাব্যতা, জীববৈচিত্র্য ও দেশীয় মাছ রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে।”

তরী বাংলাদেশ আহ্বায়ক কমিটি সদস্য খালেদা মুন্নী বলেন, “নদী সুরক্ষায় তরী বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও নদী রক্ষায় এমন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া বক্তব্য দেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহেল রানা ভূঁইয়া, সুশান্ত পাল, খাইরুজ্জামান ইমরান, মোস্তফা দেলোয়ার, আব্দুর সাকির ছোটন, জুবাইদুর রহমান মেহেদী, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা আরও জানান, গণ-গোসল কর্মসূচি কেবল প্রতীকী প্রতিবাদ নয়; এটি নদীর সঙ্গে মানুষের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বন্ধন জোরদার করার আহ্বান। এ সময় তরী বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য, স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পরিবেশকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবকসহ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...