প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
ড. ইউনূস বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছি, তার সফল বাস্তবায়নে ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকল অশুভ, অন্যায় ও অন্ধকারকে পরাজিত করে শুভ চেতনার জয় হবে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে। এই দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে এ প্রার্থনা করি।”
তিনি আরও বলেন, দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের উদ্দেশে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু ধর্ম মতে, দেবী দুর্গা মঙ্গল ও কল্যাণের উদ্দেশ্যে মর্ত্যলোকে আসেন এবং শত্রু বিনাশ ও সৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এই অশুভ শক্তির বিনাশ ও সত্য ও সুন্দরের আরাধনা দুর্গোৎসবকে অনন্য গুরুত্ব দিয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ সব ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের অপূর্ব মেলবন্ধনের অনন্য নিদর্শন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলেই বাংলাদেশি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই ধারাকে সমুন্নত রেখে এবারের দুর্গাপূজাও সারা দেশে নির্বিঘ্নে ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “শান্তি, মৈত্রী ও সাম্য সব ধর্মের মূল উপজীব্য। মানুষের কল্যাণ সাধনই সব ধর্মের মূল শিক্ষা। তাই নিজ নিজ ধর্মের যথাযথ অনুশীলনের পাশাপাশি মানুষে মানুষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহমর্মিতা বজায় রেখে সমাজে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...