বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চর–কবাই গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত সোহেল খান ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর কবাই গ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া কন্যা ফাতিমা আক্তার জানান, তার বাবা পেশায় কৃষক। গত বছর তাদের কয়েক বিঘা জমি তরমুজ চাষের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। এ বছর সেই জমি তার বাবা নিজেই চাষাবাদ করেন। জমি লিজ না দেওয়ার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, “১৫ দিন আগে আমার একটি সন্তান জন্ম নিয়েছে। এ কারণে ঘটনার দিন আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম। শনিবার রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের শাহিন হাওলাদার লোক মারফত আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে রাত ১২টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদের সামনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর রাত ১টার দিকে মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে প্রচার চালিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।”
তিনি আরও জানান, গত বছর তরমুজ চাষের জন্য উত্তর কবাই গ্রামের মন্নান হাওলাদারের ছেলে শাহিন হাওলাদার তাদের কয়েক বিঘা জমি লিজ নিয়েছিল। এ বছর তার স্বামী জমি লিজ না দিয়ে নিজেই চাষ করায় শাহিন ক্ষিপ্ত হয় এবং কয়েক দিন আগে ১৫০-২০০ মহিষ দিয়ে তাদের জমির ফসল নষ্ট করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, “ভোররাত ৪টার দিকে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি এবং থানায় নিয়ে আসি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদক- মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...