ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের মরদেহ ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ১৩ জন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন, বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলগী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. কামরুজ্জামান ভোরের বাণীকে জানান, কয়েকদিন আগে নলিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির ভ্যান সোনাখোলা গ্রামের এক ব্যক্তি চুরি করেন। এ ঘটনায় বিচার দাবি করে নলিয়া গ্রামের কয়েকজন আজ সন্ধ্যায় সোনাখোলা গ্রামে আসেন। বিচার চলাকালে দুই দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। কয়েকশ গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ঢাল-সড়কি ও ইটপাটকেল নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অংশ নেয়। এতে একজন নিহত এবং ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন।
নিহত জাকু মাতুব্বরের ভাতিজা বিপ্লব মাতুব্বর বলেন, “বিকেলে বিচার চলাকালে খাঁন গোষ্ঠীর লোকজন আমাদের মাতুব্বর গোষ্ঠীর ওপর হামলা করে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার চাচা জাকু মাতুব্বরকে মারপিট করে। এতে তার মৃত্যু হয়।” তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার দাবি করেন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদ মিয়া জানান, সন্ধ্যার সাড়ে ৭টার পর থেকে সোনাখোলা গ্রাম থেকে সংঘর্ষে আহতদের আনা হয়। মৃত অবস্থায় একজনকে এবং আহত ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তির শরীরে প্রাথমিকভাবে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
প্রতিবেদক- রবিউল হাসান রাজিব, ফরিদপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...