বিজ্ঞাপন
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “কম ঝুঁকিপূর্ণ বা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে নয়, প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা কড়া নজরদারি রেখেছি যাতে যুগ যুগ ধরে চলে আসা সামাজিক সম্প্রীতি বজায় থাকে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”
তিনি জানান, দেশের ৩১ হাজার ৬০৬টি পূজামণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুই-একটি ঘটনার বাইরে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি, পূজা উদযাপন শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের তালিকা অনুযায়ী, সারাদেশে ৪৯টি ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ জন। কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আইজিপি কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামে জামায়াত কর্মী সেজে হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি আসলে জামায়াত কর্মী নন। এছাড়া পূজামণ্ডপের গেটের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা, হাতে প্রতিমা ভাঙচুর, পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মারধর এবং সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পুলিশ ও আনসারের ওপর অতর্কিত হামলা সহ কয়েকটি ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সার্বিকভাবে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর বিষয়ে আইজিপি বলেন, “অনেক সময় পুরনো ভিডিও বা ঘটনার ছবি নতুন করে পোস্ট করা হয় যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। এসব বিষয়ে আমাদের সাইবার ইউনিট কাজ করছে, যাতে সঠিক তথ্য ছড়িয়ে জনগণ শান্ত থাকে।”
পুলিশের অভ্যন্তরীণ সতর্কতা নিয়েও তিনি বলেন, “আমাদের ইন্টারনাল ওভারসাইট (পিআইও) টিম আছে। তারা যে কোনো খবর পেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও নিষ্পত্তি করে। কাউকে সংক্ষুব্ধ দেখলে কথাবার্তা বলা হয়।”
গ্রেপ্তারকৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানান আইজিপি। তবে তিনি উল্লেখ করেন, “গাজীপুরে প্রতিমা তৈরির সময় দেখা করতে গিয়ে ধমক খেয়ে কিছু ব্যক্তি পরে ইগো থেকে প্রতিমা ভাঙচুর করেছেন। অনেক ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের স্বজনরা মানসিক ভারসাম্যহীনতা উল্লেখ করেছেন।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...