বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৮ জন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, আর আন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকেন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী। সীমিত সংখ্যক চিকিৎসককে এ বিপুল চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চিকিৎসা সেবার অবস্থা আরো ভয়াবহ করে তুলেছে কনসালটেন্ট সংকট। এখানে ১১ জন কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন। সার্জারি, মেডিসিন, শিশু, অর্থোপেডিক্স, কার্ডিওলজি, চক্ষু, নাক-কান-গলা, চর্ম ও যৌনরোগ এবং বিকল্প চিকিৎসক পদে কোনো চিকিৎসকই নেই।
এছাড়া সহায়ক কর্মী সংকটও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চতুর্থ শ্রেণির অনুমোদিত ৩৫টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৮ জন কর্মচারী। এর মধ্যে ওয়ার্ডবয় ছয়জনের জায়গায় আছেন মাত্র একজন, আয়া আছেন তিনজন এবং সুইপার ছয়জনের মধ্যে মাত্র দুইজন—যার একজন আবার ছুটিতে রয়েছেন। ফলে পুরো হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার কাজ চালাচ্ছেন মাত্র একজন কর্মী। এ কারণে হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে, যা রোগীদের অতিরিক্ত ভোগান্তিতে ফেলছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগ নির্ণয়ের জন্য স্থাপিত মূল্যবান এক্স-রে ও আল্ট্রাসোনোগ্রাফি মেশিনসহ অধিকাংশ যন্ত্রপাতিই দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। ফলে গরিব-দুঃস্থ রোগীদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে। এতে সরকারি হাসপাতালটির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য নির্মিতব্য নতুন ভবনের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যাওয়ায় কাজ আর এগোয়নি। এতে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে নোংরা পরিবেশে রোগী ও স্বজনদের অবস্থান করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “দ্রুত চিকিৎসকসহ জনবল সংকট নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।”
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট নিরসন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি চালু না হলে স্থানীয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ আরও বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
প্রতিবেদক- মশি উদ দৌলা রুবেল, ফেনী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...