বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের অনাথের মোড়-সংলগ্ন সাজের মায়া ভবনের ভেতরে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শান্তা ইসলাম জেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কাইয়ুম উদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত কানু মোল্লার মেয়ে। শহরের অনাথের মোড় এলাকায় সাজের মায়া ভবনের নিচতলায় ‘ইয়াং লাইফ বিউটি পার্লার অ্যান্ড লেজার সেন্টার’ নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে ২০ জনের বেশি কর্মচারী কাজ করতেন।
শান্তার ভাই রাজিব মোল্লা জানান, শহরের টেপাখোলা এলাকার আকিদুল ইসলাম ওরফে রুমনের সঙ্গে শান্তার বিয়ে হলেও ২০২০ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। তাদের সারা ইসলাম নামে ১৩ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। রাজিব বলেন, “আজ ভোরে আমার ভাগ্নি ফোন করে জানায়, মা আর নেই। পরে এসে দেখি, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে আমার বোনের মরদেহ। আর্থিক কোনো সমস্যাও তার ছিল না। গতকাল রাতেও আমরা হাসপাতালে মাকে দেখতে গিয়েছিলাম। রাত ১১টা পর্যন্ত আমরা তিন ভাই-বোন সেখানে ছিলাম।”
পার্লারের কর্মচারীরা জানান, দুই দিন আগে শান্তা পার্লারে এসে শয়নকক্ষে থাকতেন। ঘটনার রাতে তার পাশের কক্ষে ছিলেন লাভলী আক্তার (১৮) নামে এক কর্মচারী। লাভলী বলেন, “রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত ম্যাম প্রাক্তন স্বামী আকিদুল ইসলামের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে তারা উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। আমি ছুটে গেলে আমাকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে রুম আটকে দেন।”
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...