বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত শাহীনুর রহমান পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই এ রায় দেওয়া হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন।
শাহীনুর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বন্দিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, ফরিদপুরের মধুখালীর এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয়ের পর নোটারির মাধ্যমে বিয়ে করেন শাহীনুর। ২০১০ সালে স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পান যে তরুণী ভারতের দমদম সেন্ট্রাল জেলে আটক রয়েছেন। কয়েকদিন পর জানা যায়, তিনি সেখানকার কারাগারের শৌচাগারে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে শাহীনুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভুইয়া বলেন, “মানবপাচার প্রতিরোধে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। প্রলোভনে পড়ে বিদেশে গিয়ে অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হন, কেউ কেউ জীবনও হারান। এ রায় মানবপাচার প্রতিরোধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...