Logo Logo

দিন দিন বাড়ছে কুকুরের উৎপাত, কার্যকর পদক্ষেপ নেই খুবি প্রশাসনের


Splash Image

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসে অবাধে ঘুরে বেড়ানো কুকুরের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিন দিন বাড়ছে কুকুরের উৎপাত, কার্যকর পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের।


বিজ্ঞাপন


শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায়ই দেখা যায় লাইব্রেরি, ক্লাসরুম কিংবা আবাসিক হল থেকে বের হওয়ার সময় কুকুরের আক্রমণাত্মক আচরণের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এতে শুধু শারীরিক আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি নয়, মানসিকভাবেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যেই কয়েকজন শিক্ষার্থী কুকুরের ধাওয়া খেয়ে ভীত হয়েছেন এবং কেউ কেউ সামান্য আঘাতও পেয়েছেন।

ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মারুফ হোসেন বলেন, “কামড় দেয়নি, কিন্তু কুকুরের ধাওয়া খেয়েছি হঠাৎ করেই। সামনে হেঁটে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ ৪-৫ টা কুকুর একসাথে তেড়ে আসে। সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে হাঁটা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হাতে কিছু থাকলে সেটা খাবার ভেবে এমনভাবে লাফালাফি করে যেন আক্রমণ করবে। আসলে আমরা যারা কুকুর ভয় পাই, তাদের জন্য ক্যাম্পাসে চলাফেরা করা আতঙ্কের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিথী সাহা বলেন, “দিন দিন ক্যাম্পাসে কুকুরের উৎপাত বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, তবে আমরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সমস্যাটি বাড়লেও কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। একাডেমিক ভবন, লেকপাড় কিংবা ক্যাফেটেরিয়া কোথাও নিশ্চিন্তে বসার সুযোগ নেই। সম্প্রতি ক্যাফে থেকে মন্দিরের পথে যাওয়ার সময় ছয়-সাতটি কুকুর আমাকে ঘিরে ফেলে, যা প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি করে।”

আদুরি খানম নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “ফজরে উঠে দরজা খুলে দেখি, হলের করিডোরে ১০/১২টা কুকুর দাঁড়িয়ে আছে। ওয়াশরুম যাওয়ার উপায় নেই! আমাকে দেখে এমনভাবে চেঁচামেচি শুরু করল, যেন আমি কোনো বহিরাগত ভুল করে তাদের হলে ঢুকে পড়েছি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “বিভিন্ন ক্যাম্পাস ও পাড়ায় এখন অনেক রাস্তার কুকুর দেখা যাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের কুকুর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হাইকোর্টের রায়ের কারণে বন্ধ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুকুরপ্রেমী জনগোষ্ঠীর চাপ। গতকালও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে কুকুর কামড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসহায় একদিকে পশুপ্রেমী, অন্যদিকে আদালতের রায়। তাহলে শিক্ষার্থীরা কুকুরের আক্রমণ থেকে কীভাবে বাঁচবে?”

কুকুরে কামড়ের পর করণীয় সম্পর্কে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. আরিশমা দেবনাথ বলেন, ‘সব কুকুরের শরীরে রেবিস ভাইরাস থাকে না, তবে কামড়ালে ঝুঁকি থাকে। আক্রান্ত হলে দ্রুত ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিতে হবে।’

- আফনান আজিজ, খুবি প্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...