বিজ্ঞাপন
‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ (FFC) মূলত বিভিন্ন দেশের সুশীল সমাজের একটি জোট, যারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে গাজার ওপর চাপানো ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার জন্য কাজ করে আসছে। এবারের অভিযানে একাধিক জাহাজের মধ্যে শহিদুল আলম যেটিতে রয়েছেন, সেটি এখন পর্যন্ত মুক্তভাবে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “আজ ৩ অক্টোবর, আমরা ফিলিস্তিনের টাইম জোনে প্রবেশ করেছি। আমাদের আগে থাকা ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র সব জাহাজ ইসরায়েল আটক করেছে বলে জানতে পেরেছি।” তিনি জানান, তার জাহাজটি সবচেয়ে বড় এবং আরও আটটি ছোট নৌকা তাদের সঙ্গী। অন্য নৌকাগুলোকে অতিক্রম করার পর তার জাহাজটিই ফ্লোটিলার একেবারে সামনে থাকবে, যা এটিকে আক্রমণের মূল লক্ষ্যে পরিণত করতে পারে।
এই অভিযানের উদ্দেশ্য শুধু ত্রাণ পৌঁছানো নয়, বরং গাজার ওপর চাপানো অবরোধ ভাঙা—এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন শহিদুল আলম। তিনি বলেন, “সুমুদ ফ্লোটিলার নৌকাগুলোর দায়িত্ব ছিল ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার। আমরা কিন্তু ত্রাণের জন্য যাচ্ছি না। আমরা একটি অবৈধ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছি। ফিলিস্তিনে আমাদের থাকার এবং যাওয়ার অধিকার আছে।”
জাহাজে থাকা ৯৬ জন আরোহীর মধ্যে ৮২ জনই গণমাধ্যমকর্মী ও চিকিৎসা পেশাজীবী। ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের হত্যার প্রতিবাদ জানানোও এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। সম্প্রতি ‘মেডিসিন সান ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ)’-এর ১৪ জন চিকিৎসককে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন কথার সময় পেরিয়ে গেছে। এখন লড়াইয়ের সময়, কাজ করার সময়। নাগরিক হিসেবে আমরা সেটাই করছি।”
বিশ্বনেতাদের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বিশ্বাসঘাতকতা করলেও সাধারণ নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন তারা। সবশেষে ‘আমরা জয়ী হব, ফিলিস্তিন মুক্ত হবে’—এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি দেশবাসীর কাছে অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা কামনা করেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...