Logo Logo

নামাজের নামে খেলার মাঠে পবিপ্রবির বাস


Splash Image

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) এর পরিবহন শাখার অব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বাস সংকটে পড়লেও বহিরাগতরা অবাধে বাস ব্যবহার করছে।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি মাজারে নামাজের যাওয়ার নামে রিকুইজিশন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস বহিরাগত যাত্রী নিয়ে স্থানীয় একটি খেলাধুলার আয়োজনে নিয়ে যাওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি বহিরাগত যাত্রী নিয়ে মির্জাগঞ্জে যায়। এ সময় বাসে থাকা কিছু যাত্রী ফেসবুক লাইভে ঘটনাটি প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের নজরে আসে।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত থাকলেও বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার দেওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রোগ্রামের সময় শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত বাস সুবিধা দেওয়া হয় না। অথচ বহিরাগত যাত্রীরা বিনা বাধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার করতে পারছেন।

এ বিষয়ে বাসটি রিকুইজিশন নেওয়া সেকশন অফিসার কে. এম. শাহাদাৎ হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “বাসটি আমার ব্যক্তিগত কাজের জন্য রিকুইজিশন নেওয়া হয়। আমরা নামাজের জন্য কয়েকজন মির্জাগঞ্জে যাই। এ সময় মির্জাগঞ্জে খেলার উদ্দেশ্যে আগে থেকেই অবস্থান করা কয়েকজন ক্যাম্পাসে ফেরার সময় বাসে উঠে পড়ে।”

কিন্তু, ভিডিওতে বাসটি যাওয়ার সময়ই খেলার উদ্দেশ্যে যাওয়া হচ্ছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “খেলার উদ্দেশ্যে যাওয়া কয়েকজন আগে থেকেই বাসে হয়তো থাকতে পারে, আমার খেয়াল নেই। তারাই হয়তো ভিডিওটি করেছে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, “বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একজন অফিসার রিকুইজিশন দেন। মূলত মির্জাগঞ্জ দরবার শরীফে নামাজের কথা বলে বাসটি রিকুইজিশন দেওয়া হয়। তবে সেটি খেলার আয়োজনে নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। এ বিষয়ে আমি বন্ধের পরে খোঁজ নেব এবং কঠোর হবো।”

প্রতিবেদক- মেহেদী হাসান, পবিপ্রবি প্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...