ঘরের মেঝে খুঁড়ে তৈরি করা হয় গর্ত। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম লাবণী আক্তার (২৮)। তার স্বামী ঠান্ডু বেপারী (৩৫) সদরপুর উপজেলার ছলেনামা গ্রামের মিয়াচান বেপারীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধ এবং স্বামীর দেওয়া টাকা আত্মসাতের জন্য লাবণী আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা এই পরিকল্পনা করেন। ঠান্ডুর পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে তিনি প্রায় ১১ লাখ টাকা জমা দেন। শুক্রবার রাতেও তিনি ঢাকা থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান।
অভিযোগ অনুযায়ী, সন্ধ্যায় ঠান্ডুকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে শোয়ার ঘর থেকে মেঝে খোঁড়া অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় ঠান্ডুর ঘুম ভেঙে গেলে তাকে বেঁধে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। উপস্থিত লোকজন টের পেয়ে লাবণী আক্তার, তার মা শহিদা বেগম ও দাদি শাশুড়ি জনকী বেগম পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঠান্ডুকে উদ্ধার করেন।
ঠান্ডুর চাচা রমযান আলী জানান, ভাতিজা শ্বশুরবাড়ির পাশে জমি কিনতে চেয়েছিলেন। এজন্য টাকাও শ্বশুরবাড়ির কাছে জমা দেন। মূলত ওই টাকা আত্মসাতের জন্যই পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি বলেন, “এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...