ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং।
বিজ্ঞাপন
বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ প্রবারণা পূর্ণিমার মাহাত্ম্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানানো ছাড়াও বিহার পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধদের শেষকৃত্যের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
বৌদ্ধ নেতাদের বক্তব্য, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিষয়টি অবহিত করার পর মাত্র ১০ দিনের মধ্যে শ্মশানের জন্য স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি ইতিহাসে অনন্য। এর আগে ঢাকায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শেষকৃত্যের জন্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত যেতে হতো। এখন মৃত্যুর পরে ঢাকাতেই সুবিধা হলো।’
এছাড়া এই বছরের কঠিন চীবর দান উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভার সময়ে তারা তীর্থযাত্রার সরকারি ব্যবস্থাপনা, বৌদ্ধ পন্ডিত, ধর্মগুরু ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্করের নামে একটি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের ভিক্ষু কল্যাণ জ্যোতি, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয় দত্ত বড়ুয়া, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মং হলা চিং, সুশীল চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া ও রাজীব কান্তি বড়ুয়া।
সভার সময়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...