Logo Logo

বগুড়ার শেরপুরে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে শত শত যাত্রী


Splash Image

বগুড়ার শেরপুর ও বগুড়া মোটরশ্রমিকদের মধ্যে সংঘটিত মারধরের ঘটনায় করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকরা ৬ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। এর ফলে বগুড়াগামী শত শত যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার চারমাথা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস শেরপুর কোচ টার্মিনালে পৌঁছালে ঢাকাগামী যাত্রী তোলা নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ঘটে। পরিস্থিতি প্রথমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু সেই দিন সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের কিছু শ্রমিক শেরপুরের করতোয়া গেটলকের তিনজন শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে।

ঘটনার কোনো সমাধান না আসায় শেরপুরের শ্রমিকরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। শেরপুর কার্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, “শেরপুরের শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার পরও বগুড়ার মোটরশ্রমিক নেতারা বসে মীমাংসা করেননি। এ কারণেই আমাদের শ্রমিকেরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন।”

বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শেরপুর কার্যালয়ের সভাপতি আরিফুর রহমান জানান, গত রোববার রাতে শেরপুর কার্যালয়ে শ্রমিক ও কমিটির নেতৃবৃন্দের এক সভায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ৪ অক্টোবর শনিবার বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বগুড়া শহরের রেল স্টেশন রোড থেকে করতোয়া গেটলকের ১৫টি গাড়ি বের করে দেন, যা শেরপুরের শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা জানান, করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকেরা রোববার রাতেই মালিক সমিতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মবিরতির বিষয়টি জানিয়েছেন এবং সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, শেরপুর করতোয়া গেটলক ব্যানারে স্থানীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪৫টি বাস বগুড়া শহরে যাতায়াত করে। এসব বাসে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী শেরপুর, ধুনটসহ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের কাজীপুর ও তাড়াশ উপজেলা থেকে বগুড়া শহরে আসা-যাওয়া করেন। কর্মবিরতির ফলে এই যাত্রীরা এখন চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...