Logo Logo

চাঁদা না দেওয়ায় ফরিদপুরে ইটভাটা মালিককে হয়রানির অভিযোগ


Splash Image

চাঁদা না দেওয়ায় ফরিদপুরে একটি ইটভাটার মালিকপক্ষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় বিএনপি ও কৃষক দলের কয়েকজন নেতাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামে অবস্থিত ওই ইটভাটাটির নাম ‘পরশমণি ব্রিকস’।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, ভাটার মালিক ছিলেন বিশ্বজিৎ ঘোষ। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুর পর ভাটার দায়িত্ব নিয়েছেন মেজ ভাই চঞ্চল ঘোষ। তাঁদের চাচা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য বিপুল ঘোষ বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও বিপুল ঘোষের আত্মীয় হওয়ায় স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা তাঁদের ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে হয়রানি করছেন।

তারা মাচ্চর ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি লিটন শাহ, ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের বহিষ্কৃত সহসভাপতি ফরিদ শেখ, ছাত্র সমন্বয়ক শাহ মো. আরাফাতসহ কয়েকজনকে দায়ী করেছেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে তিনটি মামলা হয়েছে।

আইনজীবী সূত্র জানায়, ১১ আগস্ট ফরিদপুরের সহকারী জজ আদালতে ভাটার জমি নিয়ে একটি মামলা করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার আচার্য বলেন, জমির ওপর আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চিমনি ভাঙা হয়, এজন্য মামলা করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ২৫ জুলাই ইট লুটপাটের অভিযোগে ভাটার স্বত্ত্বাধিকারী ছন্দা ঘোষ ৩০ জুলাই ফরিদপুর এক নম্বর আমলি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান জানান, আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও জানা যায়, ২৩ আগস্ট ভাটায় প্রবেশের রাস্তা কেটে গর্ত তৈরির ঘটনায় ৩০ আগস্ট চঞ্চল ঘোষ আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা লিটন শাহ বলেন, “আমরা ভাটার মালিকের কাছে টাকা পাব। ফরিদ শেখ মাটি সরবরাহের টাকা পাবে। সালিশ-দরবার হলেও সমাধান হয়নি। তাই ভাটার মুখে বেড়া দেওয়া হয়, পরে ট্রাক ঢোকা ঠেকাতে রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে।”

তবে এসব অভিযোগ নাকচ করে চঞ্চল ঘোষ বলেন, “লিটন শাহ একসময় ভাটাটি দেখাশোনা করতেন। কিন্তু তিনি কম দামে মাটি কিনে বেশি দামে হিসাব দেখাতেন। আবার ইট বিক্রি করেও সঠিক হিসাব দিতেন না। এজন্য ২০২১ সালে তাঁকে ভাটা থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ফরিদ শেখ যেই মাটি সরবরাহ করেছিলেন, তার টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার বলেন, “১৬ জুলাই ওই ভাটাসহ আরও তিনটি ভাটা ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে অভিযানের সময় এক্সক্যাভেটর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুরো অভিযান সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...