বিজ্ঞাপন
নিহতের নাম লিপি বেগম (৪৫)। তাকে হত্যার পর অভিযুক্ত স্বামী মো. শফিকুল ইসলাম কালা (৬০) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা লিপি বেগমকে উদ্ধার করে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত লিপি বেগম এবং শফিকুল ইসলাম কালার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ হতো লিপি বেগম ও শফিকুল ইসলামের মধ্যে। তাদের ছেলে পনির ইসলাম (২৮) জানান, “বাবা-মায়ের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হতো। বুধবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বাবা রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে ফিরে এসে বলেন, ‘জামাকাপড় দাও, আমি ঢাকা চলে যাব।’ এরপর রুমে ঢুকে মাকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করেন এবং জামাকাপড় নিয়ে পালিয়ে যান।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাতনি স্মৃতি আক্তার জানান, “দাদা রুমে ঢুকে দাদিকে শীতের কাপড় দিতে বলেন। কাপড় নেওয়ার পর দাদা দাদিকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি বাবলুর সঙ্গে কী করছো?’ এরপর তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দাদা দাদিকে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে নির্দোষ থাকার শপথ করতে বলেন। দাদি রাজি হতেই দাদা কোমর থেকে ছুরি বের করে দাদির গলায় বসিয়ে দেন।”
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “লিপি বেগমকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...