বিজ্ঞাপন
পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং রোববার জানিয়েছে, “আফগানিস্তান সীমান্তে রাতভর সংঘর্ষে আমাদের ২৩ সেনা নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন।” সকালে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছিলেন, আফগান হামলায় ৫৮ পাক সেনা নিহত হয়েছেন, এবং নিজেদের ৯ সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, তাদের হামলায় তালেবান ও অন্যান্য যোদ্ধাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। “বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দেখা গেছে, রাতের হামলায় তালেবান ও অন্যান্য ২০০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তালেবানের অবকাঠামো, সেনা পোস্ট, ক্যাম্প, হেডকোয়ার্টার এবং সাপোর্ট নেটওয়ার্কেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে, যা সীমান্ত ও কৌশলগত এলাকায় সংঘটিত হয়েছে।”
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সৌদি আরব ও কাতার উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি আরব এক বিবৃতিতে বলেছে, “পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার অনুরোধ জানাই। শান্তি ও স্থিতিশীলতার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব প্রচেষ্টাকে সৌদি আরব সমর্থন জানায়।”
অপরদিকে কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “উভয় পক্ষকে আমরা আলোচনা, কূটনীতি এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বন্দ্ব নিরসনে এমন পথ অবলম্বন করুন যা উত্তেজনা প্রশমিত করবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আমাদের ভাতৃপ্রতীম দেশ। স্থায়ী শান্তি আনার ক্ষেত্রে কাতার অবদান রাখতে প্রস্তুত।”
সীমান্তে এই সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, এবং দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...