বিজ্ঞাপন
সকালে সাত কলেজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এতে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও শিক্ষার্থীদের অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড স্থাপন করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে যোগ দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে নারী শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। তারা ‘অধ্যাদেশ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না চলবে না’—এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জিসান বলেন, “সরকার সাত কলেজকে একত্র করে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করার ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু এখনো আইন জারি করা হয়নি। আমরা আজই অধ্যাদেশ চাই। বিলম্ব হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’।
সাত কলেজের মধ্যে রয়েছে— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...