বিজ্ঞাপন
জানা যায়, মহিপুরের লতাচাপলী ইউনিয়নের সুমাইয়া (২৫) রোববার রাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর দুই দিন আগে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। নবজাতকটি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, মহিপুর থানার নজিবপুর গ্রামের সাফিয়া বেগম (৩০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সুমাইয়ার স্বজনরা জানান, গর্ভাবস্থায় হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন সুমাইয়া। প্রথমে তারা সাধারণ জ্বর মনে করলেও পরে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। দ্রুত অবস্থা অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসক বাধ্য হয়ে সিজারিয়ান করেন। সন্তান জন্মের দুই দিন পরেই মা মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজান হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, “তুলাতুলি ২০ শয্যা হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে আছে। কোনো এমবিবিএস ডাক্তার নেই। এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু চিকিৎসা সেবা নেই। প্রশাসন দ্রুত হাসপাতালে ডাক্তার নিয়োগ করুক।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা হাসান বলেন, “প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা চেষ্টা করছেন, কিন্তু ডাক্তারের অভাবে সেবা ব্যাহত হচ্ছে।”
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, “মহিপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। আমরা জনসচেতনতা তৈরিতে মাইকিং ও ঘরে ঘরে প্রচারণা চালাচ্ছি। তুলাতুলি ২০ শয্যা হাসপাতালে একজন এমবিবিএস ডাক্তার পদায়নের প্রক্রিয়া চলছে, তিনি আগামী ১-২ দিনের মধ্যে যোগ দেবেন।”
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হামিদ বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মশার লার্ভা ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হবে। তুলাতুলি হাসপাতালে ডাক্তারের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
এদিকে, মহিপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...