বিজ্ঞাপন
স্পিন বোলদাক শহরটি আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা’র বরাত দিয়ে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানায়, হামলায় হতাহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। গুরুতর আহতদের কান্দাহার প্রাদেশিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সীমান্তে ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলার পর ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয় শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে। কয়েক ঘণ্টা পরই স্পিন বোলদাকে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমান বাহিনী।
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া হাজি বাহরাম নামের এক ব্যক্তি তোলো নিউজকে বলেন, “আমি ইতিহাসে কখনও এমন অবিচার দেখিনি। একটি দেশ, যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে— তারা নারী, শিশু ও বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালাল।”
বিমান হামলার পাশাপাশি স্পিন বোলদাক শহরের নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাক এলাকাগুলোতেও একের পর এক আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তানি স্থলবাহিনী। এতে বহু বাড়িঘর ও দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে, হতাহতের সংখ্যাও বেড়েছে।
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক এই সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নামের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ঘিরে বিরোধ। পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ এই গোষ্ঠীকে নিজেদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি মনে করছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর টিটিপির কার্যক্রম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের অভিযোগ—আফগান তালেবান সরকার টিটিপিকে মদত ও আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে, ৯ অক্টোবর কাবুলে বিমান হামলা চালিয়ে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদকে হত্যা করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। হামলার দুই দিন পর, ১১ অক্টোবর থেকেই খাইবার পাখতুনখোয়া ও আফগান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাক-আফগান সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘাত শুরু হয়।
চার দিন সংঘাত চলার পর ১৫ অক্টোবর শুরু হয় ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি। তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারও সংঘর্ষ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটল— যা সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...