ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মাজার রোড এলাকায় ভুখা মিছিলে বাধা-পরবর্তী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, “চাঁদপুরে প্রায় ৪০০ শিক্ষকের একটি লঞ্চ আটকে দেওয়া হয়েছিল, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলেও শিক্ষকরা বাসে আটকা পড়েছেন। এই ধরনের ঘটনা শিক্ষক সমাজকে অপমানিত করছে। শিক্ষকদের প্রতি এমন হেনস্তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকদের চূড়ান্ত দাবি হলো—বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করা। সরকার যে ৫০০ টাকার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, তা প্রাথমিক বিজয় হলেও চূড়ান্ত নয়। এই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
আন্দোলনকারীদের আর্থিক প্রস্তাবনার বিষয়ে অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, “এই দাবিগুলো পূরণে সরকারের সর্বোচ্চ ৩৪ কোটি টাকার প্রয়োজন, যা প্রশিক্ষণ তহবিল থেকে স্থানান্তর করলেই দেওয়া সম্ভব। প্রয়োজনে পরবর্তী বাজেটে বাকি অর্থের সংস্থান করা যেতে পারে।”
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষকরা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান স্টেকহোল্ডার। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পুলিং অফিসারসহ নির্বাচনের প্রায় ৮০ শতাংশ দায়িত্বই শিক্ষকরা পালন করেন। তিনি জানান, “জামায়াত, এনসিপি ও বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে।”
মিছিলের সময়সূচি পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, “দুপুর ১২টা থেকে কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়, কারণ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি—এই আন্দোলন নির্বাচনে প্রভাব ফেলার জন্য নয়, বরং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের শান্তিপূর্ণ প্রয়াস।”
অধ্যক্ষ আজিজী ঘোষণা দেন, “আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ থাকবে। পরবর্তী ধাপে শিক্ষা ভবনের সামনে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ হবে, এরপর শহীদ মিনারে ফিরে এসে কর্মসূচি শেষ করা হবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আমরা শান্তিপ্রিয়, তবে আমাদের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে আপসহীন।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...