মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলাকালে এই ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “গণমাধ্যম রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করে। আজকের ঘটনাটি আকস্মিক এবং ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আমি আহত সাংবাদিকসহ উপস্থিত সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বিএনপি সাংবাদিকদের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম জানান, “আমি সকাল থেকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলাম। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভেতরে প্রবেশ করে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হট্টগোলের সময় কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে মারধর করেন। আমি ভিডিও করছিলাম। হঠাৎ ৩–৪ জন এসে আমাকে টেনে নিয়ে যায়, মোবাইল ভেঙে ফেলে এবং প্রেস কার্ড কেড়ে নেয়। আমি জানাই, ভিডিও করা নিষেধ হলে মুছে ফেলব, কিন্তু কোনো কথা না শুনেই তারা আমাকে মারধর করে বাইরে বের করে দেয়।”
এ ঘটনায় ডেইলি স্টার-এর সাংবাদিক সাজ্জাদ, নয়া দিগন্ত-এর অসীম আল ইমরান এবং জাগো নিউজ-এর খালিদ হোসেনও হেনস্তার শিকার হন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, দায়ীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি শীর্ষ মহলকে জানিয়েছি।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...