Logo Logo

হাইকোর্টের রায়ের পরেও পৈত্রিক জমির দখল নিতে পারছেন না অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক


Splash Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ভোজেশ্বর বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, হাইকোর্টের রায় তার পক্ষে থাকলেও তিনি এখনও পৈত্রিক সম্পত্তির দখল নিতে পারছেন না।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ জানান। ভোজেশ্বর বিশ্বাস জানান, ভৈরবনগর মৌজার খাস খতিয়ান আরএস ১/১ দাগ নং ৫২১, মোট ৬ একর ৫৭ শতাংশ জমি তার পৈত্রিক সম্পত্তি। তবে ১৯৮০ সাল থেকে লেবুখালী গ্রামের কিরণ চন্দ্র হিরা ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ তাদের কাগজপত্রে ঘষামাজা করে ৫২০ দাগ নম্বর পরিবর্তন করে ৫২১ বানিয়ে একাধিক মালি-মামলা দায়ের করেছে। তিনি বলেন, “যতবার আদালতে মামলা হয়েছে, ততবারই আমি জয়ী হয়েছি। নিম্ন আদালতের পর জজ কোর্টে গেলেও হেরে যাওয়ায় আমি হাইকোর্টে আপিল করি। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে আমার পক্ষে রায় দেয়। তবুও প্রতিপক্ষ আমার জমির দখল ছাড়ছে না, বরং জোরজবরদস্তি করছে।”

ভোজেশ্বর বিশ্বাস আরও অভিযোগ করেন, কিরণ হীরা, কিশোর হীরা, বিদ্যুৎ হীরা, শংকর হীরা, বিনয় হীরা, সমীর হীরা ও পলাশ হীরা প্রায়ই তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি পাটগাতি বাজারে গেলেও তারা হামলার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, “আমি এখন সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি।”

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রশাসনের কাছে দাবি জানান, তিনি শুধু তার আইনি অধিকার চাইছেন। হাইকোর্টের রায় কার্যকর করে যেন তার জমির দখল দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভোজেশ্বর বিশ্বাস স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ভোজেশ্বর বিশ্বাস, পিতা মৃত সতীশ চন্দ্র বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন স্থানীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে সম্মানের সঙ্গে অবসর গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে অবসর জীবনে থেকেও তিনি আইনি রায় কার্যকর না হওয়ায় চরম ভোগান্তি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

প্রতিবেদক- কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...