বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয় গত ১৯ অক্টোবর রবিবার সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে যুবদলের নেতাকর্মী একে আজাদের গাড়ি বহরে হামলা শিরোনামে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবাদ জানাতে।
প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান দুলাল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন রাজিব।
রাজিব হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, “সেদিনের ঘটনায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের কোনো নেতাকর্মী বা ইউনিট নেতৃবৃন্দের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ভিডিও ফুটেজও এটি প্রমাণ করে। কিন্তু একে আজাদ যুবদলকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জড়িয়ে দিয়ে মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় সাধারণ জনগণ ও দলের সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সেদিন একে আজাদ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে পরিস্থিতির তীব্রতা লক্ষ্য করে ওই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কারণ তার গাড়িবহরের সাথে নিষিদ্ধঘোষিত পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মামলার আসামীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়। জেলা যুবদলের কোনো লিফলেট বিতরণ বা অন্য কর্মসূচি ওইদিন অনুষ্ঠিত হয়নি। বরং স্থানীয় বিএনপি নেত্রী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছিলেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও জানান, ফরিদপুর জেলা যুবদল সবসময় উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা জনগণের শক্তিকে ক্ষমতার উৎস হিসেবে মান্য করে এবং কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রতি প্রতিহিংসার ভিত্তিতে কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী নয়।
সংবাদ সম্মেলনের পরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ।
এ সময় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক আলী রেজাওয়ান বিশ্বাস তরুণ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান, নেতা হেমায়েত হোসেন হেলাল, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির খান, কোষাধক্ষ্য ইলিয়াস মোল্লা, মৎস্য ও প্রাণী বিষয়ক সম্পাদক গালিব ইবনে হান্নান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...