বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা কালেক্টর অর্থদণ্ড আদায় করে তা ভুক্তভোগীকে প্রদান করবেন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইসমাইল শেখ ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর খাড়া পাড়া গ্রামের আমিন শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলহাজতে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের একটি পাটক্ষেতে ভুক্তভোগী তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সালিশ বৈঠকে আসামি ইসমাইল শেখ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি সালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে, ভুক্তভোগী তরুণী ২০২৩ সালের ৬ জুন বিকেলে নিজ বাড়িতে মৃত সন্তান জন্ম দেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলে পুলিশ নবজাতকের মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
ভুক্তভোগীর মা ২০২৩ সালের ৯ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন বলেন, "আসামি ইসমাইল শেখকে আদালত আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে। জেলা কালেক্টর জমিজমা বিক্রি করে অর্থদণ্ড ভুক্তভোগীর কাছে পৌঁছে দেবেন। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে সন্তুষ্ট।"
প্রতিবেদক- রবিউল হাসান রাজিব, ফরিদপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...