বিজ্ঞাপন
প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো তীর্থযাত্রী এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় অংশ নেন। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারও যাত্রীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের যৌথ টহল দল দায়িত্বে থাকবে।
নির্ধারিত পাঁচটি রুট:
১. বুড়িগোয়ালিনী → কোবাদক → বাটুলানদী → বলনদী → পাটকোষ্টা খাল → হংসরাজ নদী → দুবলার চর
২. কয়রা → কাশিয়াবাদ → খাসিটানা → বজবজা → আড়ুয়া শিবসা → মরজাত → দুবলার চর
৩. নলিয়ান স্টেশন → শিবসা → মরজাত নদী → দুবলার চর
৪. ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন → তিনকোনা দ্বীপ → পশুর নদী → দুবলার চর
৫. বগী → বলেশ্বর → সুপতি → কচিখালী → শেলারচর → সুন্দরবনের বাহির দিয়ে দুবলার চর
বন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৩ নভেম্বর দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে এবং শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই নৌযান চলাচল করা যাবে। নির্ধারিত চেকিং পয়েন্ট ছাড়া কোথাও থামা যাবে না।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া, প্রতিটি লঞ্চ বা ট্রলারের গায়ে বি, এল, সি/সিরিয়াল নম্বর ও তীর্থযাত্রীর সংখ্যা স্পষ্টভাবে লেখা থাকতে হবে। প্রবেশের সময় তীর্থযাত্রীদের টোকেন বা টিকিট দেওয়া হবে, যা সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে।
বন বিভাগ আরও জানিয়েছে, বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, শিকার সামগ্রী, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও শব্দদূষণকারী যন্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব উদ্ধার হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তীর্থযাত্রীরা অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সহ আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে। প্রতিটি নৌযানকে আলোরকোল কন্ট্রোলরুমে রিপোর্ট করতে হবে এবং রুট উল্লেখসহ সিলমোহরযুক্ত অনুমতিপত্র রাখতে হবে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এজেডএম হাসানুর রহমান বলেন, “রাসপূজা উপলক্ষ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন রুটে দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে এবারের রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...