বিজ্ঞাপন
রংপুর বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ রোপণ করা হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পানির অভাবে অনেক এলাকায় সেচ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকদের আশঙ্কা, সময়মতো চারা তৈরি করা না গেলে পুরো বোরো ধান উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক আলী আকবর জানান, বর্তমানে ডোবার পানি ব্যবহার করে চারা বড় করা হচ্ছে। তবে ডোবার পানি বেশি দিন থাকবে না বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। পর্যাপ্ত পানি না পেলে নির্ধারিত সময়ে চারা গজানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, এই সময়ে সাধারণত মেশিনের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করা হয়। কিন্তু পানি সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে পুকুরের পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “যদি শিগগির বৃষ্টি না হয়, তাহলে চারা উৎপাদনে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেবে।”
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আতিক আহমেদ বলেন, সেচের পানির কিছুটা সংকট রয়েছে, তবে কৃষকেরা স্থানীয়ভাবে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি প্লান্টেশনের মাধ্যমে বীজ বপনের পরামর্শও দেন।
ইটাখোলা এলাকার কৃষক আকতারুজ্জামান জানান, চারা তৈরির সময় নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ না হলে ধান চাষের ফলন সরাসরি প্রভাবিত হবে। তিনি বলেন, “আমরা স্থানীয় ক্যানেল ও ডোবা থেকে পানি সংগ্রহের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছি।”
চাষিরা আশা করছেন, দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সেচ সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ নেবে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পানি সংকটের সমাধান না হলে শুধু চারা উৎপাদন নয়, পুরো বোরো মৌসুমের ফলনও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...