বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ এলাকার মৃত চান মিয়ার বাড়িতে। হামলার সময় তাঁর স্ত্রী রাশিদা বেগমের ভারতে চিকিৎসার জন্য জমানো আড়াই লাখ টাকা এবং তাঁর মেয়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন লুট করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে হামলাকারীরা বাড়িতে ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের দাবি, ফরিদপুর সদর আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের অনুসারী কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক সোহেল মুন্সী দেশীয় অস্ত্র ও শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে এই হামলায় নেতৃত্ব দেন।
ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম জানান, শুক্রবার দুপুরে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে এসে দেখেন তাঁর বাড়ির সামনে স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেন মোল্লা কয়েকজন লোককে নিয়ে সালিশ করছেন। মেম্বার দু'পক্ষকে মিটমাট করিয়ে দিলে তিনি বাড়ি চলে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সোহেল মুন্সির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
রাশিদা বেগমের ছেলে আহাদ মিয়া জানান, কানাইপুর বাজারে রামখণ্ড গ্রামের রফিকের সঙ্গে তাঁদের গ্রামের সেলিমের রাস্তায় সাইড দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। সেই ঘটনার জেরে রফিককে তাঁদের বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সোহেল মুন্সিকে খবর দিয়ে আনেন। তখন স্থানীয় মেম্বার বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এর পরপরই সোহেল মুন্সি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান।
স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেন মোল্লা হামলার ঘটনাকে 'খুবই ন্যক্কারজনক' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, "রাশিদার সঙ্গে রফিক ও সেলিমের ঘটনার কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা নেই। বিধবার বাড়িতে হামলার ঘটনাটি সোহেলের পরিকল্পিত।"
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল মুন্সির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিবদমান উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...