Logo Logo

গোপালগঞ্জে কাজী জহুরুল হক কলেজের ঈর্ষণীয় সাফল্য, পাশের হার ৯৪.৯৪%


Splash Image

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলার মধ্যে কাজী জহুরুল হক কলেজ প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেছে। যেখানে জেলায় পাসের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম, সেখানে এ কলেজের ৯৪.৯৪% পাশের হার সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।


বিজ্ঞাপন


কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কাজী জহুরুল হক কলেজ থেকে মোট ১৫৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়, যার মধ্যে পাশ করেছে ১৫০ জন। মোট ১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া ‘এ’ পেয়েছে ৬০ জন, ‘এ মাইনাস’ পেয়েছে ৫৯ জন, ‘বি’ পেয়েছে ১৭ জন এবং ‘সি’ পেয়েছে ১ জন। মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলেও কলেজটির সাফল্য চোখে পড়ার মতো। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেওয়া ৮ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে, অর্থাৎ শতভাগ সাফল্য এসেছে এ বিভাগে। এরমধ্যে ‘এ’ পেয়েছে ২ জন, ‘এ মাইনাস’ পেয়েছে ৪ জন এবং ‘বি’ পেয়েছে ২ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ১২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১২৫ জন, পাশের হার ৯৬.৯০%। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, ‘এ’ ৪৮ জন, ‘এ মাইনাস’ ৫৪ জন, ‘বি’ ১৪ জন এবং ‘সি’ পেয়েছে ১ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৭ জন (পাশের হার ৮০.৯৫%)। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, ‘এ’ ১০ জন, ‘এ মাইনাস’ ১ জন এবং ‘বি’ পেয়েছে ১ জন।

এদিকে, জেলার সার্বিক ফলাফল হতাশাজনক। জেলার ৫ উপজেলার ৩৫ টি কলেজ থেকে মোট ৯ হাজার ৯ শ’ ৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে পাশ করেছে ৪ হাজার ২শ’ ২০ জন জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৫ হাজার ৭শ’ ২৬ জন। জেলার পাশের হার মাত্র ৪২.৪২ %। সেখানে কাজী জহুরুল হক কলেজের ৯৪.৯৪% পাশ, জেলার ফল বিপর্যয়ের মধ্যে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।

কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বরাবর শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করে আসছে। এ বছর গোপালগঞ্জ জেলার অধিকাংশ কলেজে এইচএসসিতে ফল বিপর্যয় ঘটলেও, ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৬৪.৬২% হলেও সেখানে আমাদের কলেজ থেকে ৯৪.৯৪% পাশ করেছে।” তিনি এই সাফল্যের পেছনে শিক্ষক মন্ডলীর আন্তরিকতা, ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করার অভ্যাস এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সহযোগিতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

অধ্যক্ষ আরও জানান, “আমরা শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে যত্ন নিয়ে থাকি। তাদের শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধূলা, সংস্কৃতি চর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীর মেধা ও মনন বিকাশে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি। আগামীতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং আশা করছি সামনের বছরগুলোতে আমাদের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...