বিজ্ঞাপন
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনা ভবনের সামনে তারা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ইসকনের সঙ্গে জড়িত কিছু উগ্র সদস্য পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করছে এবং বিভিন্ন স্থানে নৃশংস অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। তারা গাজীপুরে আশামনিকে ধর্ষণ, টঙ্গীতে খতিব মুহিবুল্লাহর অপহরণ এবং চট্টগ্রামে আলিফ হত্যার ঘটনাগুলোকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, “ইসকনের নামে দেশের অভ্যন্তরে এক ধরনের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্র যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তা সামাজিক শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।”
সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা ইসকন নিষিদ্ধ, জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান। তারা বলেন, দেশের ভেতরে কোনো সংগঠন ধর্মের আড়ালে সন্ত্রাস ও ধর্ষণের আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রযন্ত্রের নীরবতারও সমালোচনা করেন। তাদের দাবি— “নীরবতা অপরাধকে আশ্রয় দেয়, তাই রাষ্ট্রকে এখনই দায়িত্বশীল হতে হবে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইসকনের কিছু কর্মকাণ্ডকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, এসব ঘটনার তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা সম্ভব।
-প্রতিবেদক, সাদিকুর রহমান সাদি
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...