ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষণার সময় আসামি জামিল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জামিল কাউনিয়া উপজেলার ছিট নাজিরদহ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন জানান, স্ত্রী ও মায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা কলহের জেরে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে জামিল মিয়া তার ঘুমন্ত মা জামিলা বেগমের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। এরপর সেই লাশ ঘরের মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে।
পরদিন সকাল থেকে জামিলা বেগমের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জামিলার ঘরে গিয়ে এলাকাবাসী মেঝের মাটি উঁচু দেখতে পেয়ে সন্দেহজনকভাবে জামিলকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জামিল মাকে হত্যার পর ঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জামিলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং মাটি খুঁড়ে জামিলা বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় জামিলার ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে মঙ্গলবার আদালত আসামি জামিল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন বলেন, আদালতের এই রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, "ছেলের হাতে মাকে খুন বা হত্যার ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়ের একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের উদাহরণ। আমরা চাই না সমাজে এমন ঘটনা আর ঘটুক।"
অন্যদিকে, আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী শামীম আল মামুন জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
রংপুর জেলা পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম বলেন, "চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার দ্রুত রায় হওয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।"
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...