Logo Logo

নকলার চন্দ্রকোনা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ (পর্ব- ১)


Splash Image

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল করে দেওয়াসহ, আইনের অপব্যবহার করে মামলার বিবাদীর স্থাপনা ভেঙে বাদীকে জোরপূর্বক জমি বুঝিয়ে দেওয়া এবং নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।


বিজ্ঞাপন


চন্দ্রকোনা বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে জমির দখল সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মৃত মহর উদ্দিনের পরিবারের প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন প্রভাষক জয়ন্ত কুমার দেব এ্যাপোলো। অভিযোগ উঠেছে, আদালতে এই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিরাজ উদ্দিন আইনের অপব্যবহার করে আসামীদের জমিতে থাকা স্থাপনা ও দোকানপাট জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে মামলার বাদী এ্যাপোলোকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন।

এই অভিযোগে মৃত মহর উদ্দিনের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান রাজিব নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, চন্দ্রকোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজ উদ্দিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মোস্তাফিজুর রহমান রাজিবের দোকানঘর ভেঙে নিতে বাধ্য করেন এবং পরে জয়ন্ত কুমার দেব এ্যাপোলোকে জমিতে ঘর তুলে দখল নিতে বলেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী জয়ন্ত কুমার দেব এ্যাপোলোর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, "আদালতে মামলা করেছি তাই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সহযোগিতা নিয়ে জায়গা দখল করেছি।" মামলার রায় প্রকাশিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এ্যাপোলো স্বীকার করেন, "মামলা চলমান আছে।"

অন্যদিকে, চার ঘন্টায় প্রায় ১৮ বার ফোন করার পর একবার ফোন রিসিভ করে চন্দ্রকোনা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিরাজ উদ্দিন বলেন, "আমাকে এ্যাপোলো বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছে, আমি যাইনি, নেতারা বসে রাজিবের ঘর ভেঙে এ্যাপোলোকে বুঝিয়ে দিয়েছে।"

তিনি নেতাদের নাম বললেও, তিনি যাদের নাম উল্লেখ করেন তাদের মধ্যে শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি মাহমুদুল হক দুলালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, "আমি যাইনি, পরিবারের অসুস্থতাজনিত কারণে আমি হাসপাতালে রয়েছি। তবে হাসপাতাল থেকে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।"

এছাড়াও চন্দ্রকোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে জামালপুর সদর থানার ঢৌহাতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র রনি মিয়া চন্দ্রকোনা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সুজনের (ধান সরিষার) গুদামঘরের সামনে থেকে জোরপূর্বক একটি অপ্পো-এম- ৫৪ মোবাইল ফোন এবং একটি আরটিআর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দিন উল্লেখিত এলাকায় কোনো প্রকার ভ্রাম্যমাণ আদালত বা যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়নি বলে জানা যায়।

এই বিষয়ে ইনচার্জ সিরাজ উদ্দিন বলেন, "সে (রনি) মোবাইল এবং মোটরসাইকেল রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়!" তবে অভিযোগ উঠেছে যে, সিরাজ উদ্দিনের সোর্স বাজারের মালি, রিনার মাধ্যমে খবর পাঠানো হয় ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল এবং মোটরসাইকেল ফাঁড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

এই সকল অভিযোগ নিয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূঞার সাথে কথা হলে তিনি ভুক্তভোগীদেরকে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

(আরো বিস্তারিত পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে)

প্রতিবেদক- মোঃ আরিফুর রহমান, শেরপুর।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...