ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর আগে দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনকালীন পদায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। তবে এবারের নির্বাচনে গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের রাখা হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য ৬৪ জেলার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো কর্মকর্তাকে তার শ্বশুরবাড়ি বা আত্মীয়-স্বজনের এলাকায় পদায়ন করা হবে না। একইভাবে, গত তিন নির্বাচনে যারা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের এবার দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
নির্বাচন ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কার কথাও তুলে ধরেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “দেশের ভেতরে-বাইরে থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা হতে পারে। এ ধরনের অপপ্রচার প্রতিরোধে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।”
তিনি আরও জানান, সামাজিক মাধ্যমে মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বরাতে শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন বানচালে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে অপশক্তি সক্রিয় হবে। তারা বড় শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারে, হঠাৎ করে আক্রমণও হতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। যত ঝড়-ঝাপ্টাই আসুক, আমাদের সেটি অতিক্রম করতে হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...