বিজ্ঞাপন
নবগঠিত কমিটিকে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কমিটি’ আখ্যা দিয়ে একাংশের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে কমিটি বাতিলের আল্টিমেটাম দিয়ে অর্ধদিবস হরতালের ঘোষণা দিলেও বুধবার রাতেই সেটি প্রত্যাহার করেন।
অন্যদিকে নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শোভাযাত্রা (র্যালি) বের করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ও সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়ার যৌথ স্বাক্ষরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট দুটি কমিটি অনুমোদন করা হয়। তবে দলের একাংশ এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছেন, গঠিত কমিটির প্রায় ৭৫ শতাংশ সদস্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
প্রতিবাদী অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান। তারা অভিযোগ করেন, “নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এটি বিএনপির স্বার্থবিরোধী। আমরা এই কমিটি মানি না; বিলুপ্ত করতে হবে। অন্যথায় পর্যায়ক্রমে আন্দোলন চলবে।”
মঙ্গলবার রাতে প্রতিবাদী নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল বের করেন এবং সদর বাজারের চৌরাস্তায় সমাবেশে মিলিত হয়ে ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে কমিটি বাতিল না হলে অর্ধদিবস হরতাল পালন করা হবে। তবে বুধবার রাতে তারা জানান, হরতালের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও রাতে মশাল মিছিল করবেন।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নূর জামাল খশরু ও পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল হক রিপন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই কমিটিগুলো অনুমোদিত হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দলের পরীক্ষিত নেতা—তারা জেল খেটেছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং দলকে আগলে রেখেছেন।”
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান আব্বাস বলেন, “নতুন কমিটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর বাজারে শোভাযাত্রা বের করা হবে।” তিনি জানান, অন্য কোনো পক্ষের হরতাল কর্মসূচি সম্পর্কে তাঁর জানা নেই।
এদিকে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম জানান, “সামাজিক মাধ্যমে হরতালের কথা শুনেছি, তবে হরতালের নামে কোনো ধরনের নাশকতা সহ্য করা হবে না।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল বলেন, “উপজেলায় কোনো হরতাল চলবে না। হরতালের নামে কেউ নাশকতা করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না; কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...