বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ মোড়ক উন্মোচন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচজন সেরা প্রতিবেদক নির্বাচিত হন। দৈনিক যুগান্তর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক সাকেরুল ইসলাম, দ্য নিউ নেশনের মো. আব্দুর রাকিব, কালের কণ্ঠের মো. জুনাযেত শেখ, দৈনিক খবর সংযোগের সাফা খাতুন, দৈনিক আমাদের সময়ের রাকিবুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জবিসাসের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি ইমরান হুসাইন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম।
সম্বর্ত প্রকাশের উদ্দেশ্য উল্লেখ করে জবিসাসের সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, “জবিসাস সবসময় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নযাত্রায় অংশীদার হতে চায়। ‘সম্বর্ত’ ম্যাগাজিনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বছরের অর্জন, ব্যর্থতা, সম্ভাবনা ও বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ম্যাগাজিন তরুণ সাংবাদিকদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এবং উল্লেখিত সংকট সমাধানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।
জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম বলেন, ‘সম্বর্ত’ শুধু একটি ম্যাগাজিন নয়, এটি জবির উন্নয়নযাত্রার দলিল। সংবাদে ইতিবাচক নেতিবাচক দুইটায় আসবে। আপনাদের জায়গা থেকে তুলে সমস্যা গুলো ধরেছেন। প্রশাসন নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে। তবে কমিউনিটি জার্নালিজমের কনসেপ্টটা ধারণ করতে পারেন নি। এখানে কিছু বিষয় সমাধান হয়েছে। আবার কিছু বিষয় আরও ভালো ট্রিটমেন্ট দেয়া যেতো।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তা, লেখালেখি ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার এই প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়। এটায় সব সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। কোনো সফলতা তুলে দরা হয়নি। শিক্ষা সততা সাহসিকতা আমরা দৃঢ়ভাবে ধারণ করি। সততার জায়গায় আমরা কম্রোমাইজ করতে চাই না। কাজে ভুল থাকতে পারে, কিন্তু সততা নিয়ে আমরা বিতর্কিত হতে চাই না। যে অর্জন গুলো দেখছো, তা আমরা তোমাদের চাওয়া পাওয়া কে ধারণ করি তাই হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, 'জবিসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উন্নয়ন ও ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমন উদ্যোগ তরুণ সাংবাদিকদের সৃজনশীলতা ও দায়িত্ববোধকে আরও উজ্জীবিত করবে। প্রশাসনের সফলতা ও ব্যর্থতা সবকিছু তুলে ধরতে হবে। শুধুমাত্র এক দিকে তুলে ধরলে হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। আমরা সেসব সমস্যা পেয়েছি তা বিগত সময়ের। তবে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা অনেকগুলো কাজ এগিয়েছি।
উল্লেখ্য, ‘সম্বর্ত’ ম্যাগাজিনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বছরের সাফল্য, শিক্ষার্থীদের অর্জন, গবেষণা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...