ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেছেন, লাভজনক রাষ্ট্রীয় সম্পদ চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের একটি মহল ব্যবসায়িক স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। তাদের দাবি, নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের চক্রান্ত চলছে, এবং এই চুক্তি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার বন্দর এলাকায় এক মাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকার বিনা টেন্ডারে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে টার্মিনাল হস্তান্তরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকার কেন সেই চক্রান্তই বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে, এর জবাব সরকারকে দিতে হবে।”
তারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় নাগরিক সমাজ, শ্রমিক, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দেশবিরোধী এই তৎপরতা প্রতিহত করা হবে। একই সঙ্গে বন্দরের মাশুল বাড়ানোও এই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন তারা।
শ্রমিক নেতাদের ভাষ্য, “চট্টগ্রাম বন্দর বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি লাভ করে। এরপরও বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্দরের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে সরকার তাদের মুনাফা নিশ্চিত করতে ট্যারিফ ৪১ শতাংশ বাড়িয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এক্তিয়ার বা ন্যায্যতা নেই।”
তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সরকারের এই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত হুমকি হয়ে উঠতে পারে। “বাংলাদেশে একাধিক সমুদ্রবন্দর নেই। দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়। তাই অন্য কোনো দেশের মতো এ বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত,” বলেন নেতারা।
অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সেক্রেটারি ইব্রাহিম খাকন এবং ডক শ্রমিক দলের সেক্রেটারি আখতারউদ্দিন সেলিমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...